ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১৫:১৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পুড়িয়ে দেওয়া ট্রলার ও স্পিডবোট
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর দুটি বাড়ি, সাতটি স্পিডবোট এবং চারটি ট্রলারে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে হাতিয়া পৌরসভা, ব্রিকফিল্ড বাজার ও নলচিরা ঘাটে একদল যুবক এসব ঘটনা ঘটায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর হাতিয়া পৌরসভার লক্ষ্মীদিয়া ও ব্রিকফিল্ড বাজার এলাকায় দুটি বাড়ি, হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে নোঙর করা সাতটি স্পিডবোট ও চারটি ট্রলারে আগুন দেওয়া হয়। পরে লক্ষ্মীদিয়ার দুটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছু লোক মিছিল নিয়ে মোহাম্মদ আলীর লক্ষ্মীদিয়ার বাড়ির সামনে যায়। এসময় আলীর অনুসারীদের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলে থাকা তিনজন আহত হন।
এ ঘটনার জেরে রাত দেড়টার দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে কয়েকশ মানুষ সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর দুটি বাড়িতে হামলা চালায়। ভাঙচুরের পর দুটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। একই সময়ে নলচিরা ঘাটে মোহাম্মদ আলীর সাতটি স্পিডবোট এবং চারটি পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রলারে আগুন দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোহাম্মদ আলীর এক অনুসারী বলেন, “রাত ৯ টায় ছাত্রদের মিছিল থেকে প্রথমে মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে এক দফা হামলা হয়েছিল। পরে আবার রাত দেড়টায় দ্বিতীয় দফায় দুটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া সাতটি স্পিডবোট ও চারটি ট্রলারেও আগুন দেওয়া হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ছাত্রদের হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার সুযোগে বাড়ি দুটিতে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে।”
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের মিছিলে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর লোকজন ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে রাতে ঘটনাস্থলগুলোতে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না।”
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা আলী গৃহবন্দী হয়ে পড়েছিলেন। এছাড়া তাদের সাথে বড় ছেলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক আলী অমিও একই সাথে ছিলেন। পাঁচ দিন গৃহবন্দী থাকার পর ১০ আগস্ট রাতে নৌবাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। বিভিন্ন মামলায় আদালতের নির্দেশে তারা এখন কারাগারে রয়েছেন।
ঢাকা/সুজন/টিপু