ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
বিএনপি তার মূলনীতি থেকে কখনোই বিচ্যুত হয়নি মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, বিএনপিকে যারা বিচ্যুত করার চেষ্টা করেছে তারাই হারিয়ে গেছে। যারা নিজের ও পরিবারের জীবন বাজি রেখে কষ্ট সহ্য করেছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদেরকে কিন্তু মানুষ এখনো শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদীর ধারক বাহক হিসেবে দেশের বাইরে আমাদের কোন প্রভু থাকতে পারে না ।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার মূল কারিগর যে সে ব্যক্তি দাপটের সঙ্গে একটি বড় মন্ত্রণালয়ের সচিব। বেগম খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছিল তার ৪০ বছরের বসতবাড়ি থেকে, সেই সেনা কর্মকর্তাদেরও কোনো বিচার করা হয়নি। যারা তারেক রহমানের ওপর নির্মম অত্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং অনেকেই এখনো জামাই আদরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছে বলেই নানা কুকীর্তির মধ্য দিয়ে দেশটাকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এখানে কিন্তু বিএনপি অতন্দ্র প্রহরীর মত পাহারা দিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ফ্রান্সের একজন পার্লামেন্ট মেম্বার আমেরিকার স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফ্রান্সকে ফেরত দিতে বলেছে। ১৮৮৬ সালে ফ্রান্স আমেরিকাকে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি উপহার দিয়েছিল। সেটা এখন তারা ফেরত চাচ্ছে। সেটা ফেরত চাওয়ার কারণ হলো বর্তমান আমেরিকার সরকার সেটার সম্মান দিতে পারছে না। তারা গণতন্ত্রের, মানবাধিকারের পথে নেই।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে আলাল বলেন, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ আপনাদের সমর্থন দিয়েছে। সেই সমর্থন প্রত্যাহার করার সময় চলে এসেছে কি না আমরা বলব না। নিজেদেরকে বিতর্কিত করবেন না। মানুষের প্রত্যাশিত যে সংস্কার সেটাকে বিলম্বিত করা এবং মানুষের হারিয়ে যাওয়া ভোটের অধিকার পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব বাদ দিয়ে কোনো কৌশল বা পন্থা অবলম্বন যদি করেন বা সময়ক্ষেপণ করেন তাহলে আমরা আপনাদের কাছ থেকে সেই স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত নেওয়ার জন্য বসে আছি। অনেক কথা ইনিয়ে বিনিয়ে বলা হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে ডিসেম্বর, কখনো সংস্কার। আরে সংস্কারের জনক তো বিএনপি।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপির সুসময়-দুঃসময় সবসময়ই খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে স্মরণ করা উচিত। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের যে অভাবটা আমরা অনুভব করছি সেই অভাবটা পূরণের জন্য কী কী কাজ করা উচিত, কী কাজ করলে সে অভাবটা পূরণ হবে সেইগুলোই করা উচিত।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে ও ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ। এছাড়া খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অন্য সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এএমএ/এএসএম