বিশ্বের যেসব শহর বেশি ঝুঁকিতে

4 hours ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

৮০০ কোটি মানুষের পৃথিবীতে প্রায় অর্ধেক মানুষ বসবাসের জন্য বেছে নেন শহরকে। এ কারণে গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় নগরাঞ্চল দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ওয়াটারএইডের নতুন গবেষণা অনুযায়ী, অনেক নগরাঞ্চল পানি-সম্পর্কিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।

গবেষণায় ১০০ টিরও বেশি প্রধান শহর পরীক্ষা করা হয়েছে, যেখানে গত চার দশক ধরে জলবায়ুর ধরন নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।

কায়রো, মাদ্রিদ, হংকং, রিয়াদ ও জেদ্দার মতো অনেক শহর এক সময় বন্যার ঝুঁকিতে ছিল। এখন তারাই খরার সঙ্গে লড়াই করছে। অন্যদিকে ভারত, কলম্বিয়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের শুষ্ক শহরগুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ওয়াটারএইড-এর বৈশ্বিক আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক ক্যাথেরিন নাইটিঙ্গেল বলেন, এখনকার অবকাঠামো এমন এক সময়ে ডিজাইন ও নির্মাণ করা হয়েছিল, যখন এই শহরগুলো শুষ্ক ছিল। কিন্তু এখনএগুলো বন্যাপ্রবণ শহর।

ক্রমবর্ধমান বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি শহরের মধ্যে দুটি ছাড়া বাকি সবই এশিয়ায়। সে শহরগুলোর অর্ধেকই ভারতে। ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য সবচেয়ে বেশি শুষ্কতার প্রবণতা অনুভব করছে।

চীন, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং পূর্ব আফ্রিকার শহরগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। নাইটিঙ্গেল বলেন, খরা পানির উৎস শুকিয়ে দেয়, অন্যদিকে বন্যা শৌচাগার এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা ধ্বংস করে এবং পানীয়-জলকে দূষিত করে।

পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি শহরের মধ্যে রেখেছে ওয়াটারএইড। করাচির ২ কোটি মানুষের অর্ধেকই বস্তিতে বাস করে।

পাকিস্তান বন্যার মুখোমুখি হলেও, আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া খরার সঙ্গে লড়াই করছে। এ কারণে দেশটিতে পানি, স্যানিটেশন এবং বিদ্যুতের সংকট রয়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষজনের ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এমএসএম

Read Entire Article