ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
কক্সবাজারের টেকনাফে মৌসুমের শুরুতে মাঠ থেকে লবণ উৎপাদন শুরু করেছেন চাষিরা। তবে লবণের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর আলম (৬৫)। তিনি পেশায় একজন লবণচাষি। নুর আলম বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে ভালো লবণ উৎপাদন হচ্ছে। তবে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা চাষিরা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিমণ লবণ উৎপাদনে খরচ পড়ে যাচ্ছে ৪০০ টাকা। অথচ বিক্রি করতে পারছি ৩০০ টাকা মণ। অর্থাৎ লাভতো দূরের কথা, প্রতিমণে ১০০ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
সাবরাং ইউনিয়নের বাসিন্দা ছৈয়দ করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিগত বছর লবণ উৎপাদন করে যে আয় হতো, তাতেই পুরো বছর পরিবারের অন্যান্য সব খরচ মেটানো যেতো। এখনতো আমরা লবণের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। অথচ লবণ উৎপাদন করা ছাড়া আমার অন্য কোনো ব্যবসা নেই। ন্যায্য মূল্য না পেলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’
- আরও পড়ুন: দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করছে ৭৬ শতাংশ পরিবার
৬৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে ২৪ লাখ টন লবণ উৎপাদন
১৫ বছর ধরে লবণ উৎপাদন করছেন শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা চাষি অলি উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘লবণের দর কখনো কমে আবার কখনো বাড়ে। কিন্তু এবার লাভের আশা দেখছি না। দাম নেই। আমাদের লস হচ্ছে।’
বাহারছড়ার বাসিন্দা লবণচাষি হোসাইন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘১০ কানি (এক কানি সমান ৩৯ শতাংশ) জমিতে লবণ চাষাবাদ করতে গিয়ে সারাদিন গরমের মধ্যে শ্রমিকদের সঙ্গে আমি নিজেও কাজ করি। যথেষ্ট পরিমাণ লবণ উৎপাদন হচ্ছে। তবে দাম যা পাওয়ার কথা তা পাচ্ছি না। সামনের দিনে পাবো কি-না তাও নিশ্চিত নই।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার বিসিক কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস বলেন, গুদামজাত করা লবণ যাতে দ্রুত বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা যায়, সেজন্য আমরা কাজ করছি। আশা করি, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে লবণের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে কক্সবাজারে লবণ মৌসুমে ১০ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে দুই লাখ মেট্রিক টন।
এসআর/জেআইএম