লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেকেই জাত চেনালেন হামজা চৌধুরী

11 hours ago 3
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

শুরু আর শেষটায় আফসোস বাংলাদেশের। ৩০ সেকেন্ডে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মজিবুর রহমান জনি। শেষ হওয়ার ৩০ সেকেন্ড আগে পেয়েছিলেন রাকিব। কোনো সুযোগই কাজে আসেনি।

ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেই মাঠ ছাড়ে হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশ। আজ (মঙ্গলবার) ভারতের শিলংয়ে অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচ ভারত ও বাংলাদেশের জম্পেস লড়াইয়ে কোনো পক্ষই জিততে পারেনি।

দুই অর্ধে দুইরকম ম্যাচ দেখেছেন শিলংয়ের দর্শকরা। প্রথমার্ধে কম হলেও চারটি সুযোগ পেয়ে গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানো ভারতকে রীতিমত রুখে দিয়েছে হামজার বাংলাদেশ।

এই ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হামজা চৌধুরীর। জীবনের প্রথম জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমে নিজের জাত চিনিয়েছেন হামজা।

শুরুর দিকে হামজা একটু ওপরের দিকে খেলা চেষ্টা করেছেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধ ভারত যখন বাংলাদেশের রক্ষণে চাপ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয় তখন হামজা অনেকটা নিচে নেমে এসে খেলতে থাকেন। নিচ থেকে হামজাই বাংলাদেশের খেলাটা পরিচালনা করছিলেন। তেমন আক্রমণাত্মক ভূমিকায় হামজাকে দেখা না গেলেও কখনো নিচ থেকে এবং কখনো মাঝ থেকে বাংলাদেশের খেলার সূতোটা রেখেছিলেন নিজের কাছেই।

অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছিল না তার হাতে। তবে মাঠে তিনিই ছিলেন নেতা। শেষ দিকে ভারত যখন গোলের জন্য বাংলাদেশ রক্ষণকে ব্যস্ত রাখতে শুরু করে তখন হামজাই বারবার ত্রাণকর্তা হিসেবে কৌশলে সেই আক্রমণগুলো রুখে দিয়েছে।

প্রথমার্ধে বাংলাদেশের গোলের জন্য মরিয়া দেখা গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে কৌশলে পরিবর্তন আনেন হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। হামজা নিজে নামলে মাঝমাঠের লড়াইয়ে এগিয়ে তাকে ভারত। তাতে বারবার বাংলাদেশ সীমানাতেই বল ঘুরতে থাকে। তবে হামজার নেতৃত্বে বাংলাদেশের রক্ষণ প্রতিটি আক্রমণ রুখে দিয়েছে।

আরআই/এমএমআর/এমএস

Read Entire Article