ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
যশোরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুমন ওরফে ট্যাটু সুমনের গুলিতে মীর সাদী আহমেদ (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) দিনগত মধ্যরাতে যশোর শহরের রেলগেট পঙ্গু হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মীর সাদী আহমেদ শহরের রেলগেট এলাকার শওকত হোসেনের ছেলে। হামলাকারী ট্যাটু সুমন এবং নিহত সাদী আহমেদ দুজনই যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহবুব রহমান ম্যানসেলের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। ধারণা করা হচ্ছে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে মোটরসাইকেলে চাচাতো ভাই রাকিবের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন সাদী। বাড়ির সামনে আগে থেকে অপেক্ষায় ছিলেন ট্যাটু সুমন ও মেহেদী। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই সুমন ও মেহেদী সাদীকে ছুরিকাঘাত করেন। এসময় সাদীর বাইকে থাকা রাকিব ট্যাটু সুমনকে জড়িয়ে ধরলে তারা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন ও রাকিবকে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের ছোড়া গুলিতে সাদীর গলা ও বুকে বিদ্ধ হয়।
- আরও পড়ুন
সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত, সহকর্মীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র মহাসড়ক
লঞ্চে নবজাতকের জন্ম, পাবে আজীবন যাতায়াত সুবিধা
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত একটার দিকে সাদীর মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ বলছে, সাদী যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ত্রাস ম্যানসেলের প্রধান সহযোগী ও ম্যানেজার। তার নেতৃত্বে রেলগেট এলাকায় মাদক বিক্রি, চাঁদাবাজি, হাঁটবাজার ইজারার নিয়ন্ত্রণ করতেন সাদী। সাদীকে যারা হত্যা করেছেন তারাও ম্যানসেলের সহযোগী। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পর ম্যানসেল আত্মগোপনে চলে যান। ফলে রেলস্টেশন বাজার ও রেলগেট এলাকার চাঁদার টাকা ম্যানসেলকে দেওয়া বন্ধ করে দেন সাদী। চাঁদার টাকা না পেয়ে ম্যানসেল তার আরেক সহযোগী দিয়ে সাদীকে হত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, কারা কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেটা পুলিশ তদন্ত করছে। নিহত সাদী সন্ত্রাসী ও যাদের নাম আসছে তারাও সন্ত্রাসী। সবার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
মিলন রহমান/কেএসআর