কমবয়সে চুল পাকার ৬ কারণ

1 day ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

বর্তমানে অকালেই অনেকের চুলে পাক ধরছে। মূলত ভুল জীবনধারা ও বদঅভ্যাসের কারণেই চুল পেকে যায় অকালে, এমনটিই মত বিশেষজ্ঞদের। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন কারণে অকালেই পেকে যায় চুল-

অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি

দীর্ঘদিন ধরে রোদে বেশি সময় কাটানো ও চুলো রোদের আলো পড়ার কারণেও অকালে সাদা হয়ে যেতে পারে চুল। আসলে সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি সরাসরি চুলে পড়লে তা শুষ্ক হয়ে পড়ে ও চুলের রং ধূসর হয়ে যায়। সূর্যালোক থেকে চুল রক্ষায় ছাতা ব্যবহার করুন। চাইলে স্কার্ফ কিংবা টুপিও নিয়মিত পরতে পারেন মাথায়।

মানসিক চাপ

প্রত্যেকেই কমবেশি মানসিক চাপে ভোগেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগলে স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা যেমন- অনিদ্রা, উদ্বেগ, ক্ষুধা পরিবর্তন ইত্যাদি দেখা দেয়। আর এ কারণে অকালেই পাকে চুল। এমনকি চুল পড়ার সমস্যাও বেড়ে যায় অনিদ্রা ও মানসিক চাপে। তাই এখন থেকে মানসিক চাপ এড়াতে নিয়মিত মেডিটেশন করুন।

চুলে তেল না দেওয়া

নিয়মিত তেল ব্যবহার না করলেও কিন্তু চুল অকালে পাকতে শুরু করে। তেল চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত তেল গরম করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে চুল ভালো থাকে। চুলে তেল না ব্যবহারের অভ্যাস এখন থেকেই বদলে ফেলুন। না হলে অকালে আপনার চুলও সাদা হয়ে যাবে।

ধূমপান

অকালে চুল পাকার অন্যতম এক কারণ হলো ধূমপান। এটি শুধু আমাদের ফুসফুসের জন্যই ক্ষতিকর নয়, ত্বক ও চুলেও খারাপ প্রভাব ফেলে। সিগারেটে থাকা টক্সিন উপাদান চুলের ফলিকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে চুল ধূসর হয়ে যায়।

চুলে রাসায়নিক প্রসাধনীর ব্যবহার

চুলে কমবেশি সবাই বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তবে কোন প্রসাধনীতে কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়েছে, তা যাচাই করে কেনেন না অনেকেই। ফলে চুলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আসলে রাসায়নিক রং, হেয়ার জেল, হেয়ার সিরাম, রাসায়নিক যুক্ত শ্যাম্পু, মাস্ক ইত্যাদির কারণেও চুল অকালেই পেকে যেতে পারে।

সঠিক খাবার না খাওয়া

বর্তমানে সবাই অস্বাস্থ্যকর খাবারে মুগ্ধ। স্বাদ বুঝে খাবার খাওয়ার কারণে বিভিন্ন ভিটামিন বাদ পড়ে যায়। ফলে চুলের মতো শরীরেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। মনে রাখবেন, খাদ্যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই ভালো চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। এজন্য অবশ্যই পাতে রাখুন ভিটামিন বি-১২ জাতীয় খাবার।

সূত্র: হেলথলাইন

জেএমএস/জিকেএস

Read Entire Article