ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে একই স্থানে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি থাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমাবেশ ও আলোচনাস্থলসহ পুরো পৌর এলাকাকে এ নির্দেশনার আওতায় আনা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে শ্যামনগর সদরের এম এম প্লাজার পাশে কৃষকদলের কার্যালয়ের সামনে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আনন্দ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপির একাংশ। দলটির আরেক অংশ একই সময়ে ওই স্থানে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষকেই কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। উভয় পক্ষ একই স্থানে ও সময়ে সম্মেলন কিংবা আলেচনা সভা আয়োজন করলে ওই স্থান ও আশপাশের সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। আইনশৃঙ্লা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কায় শ্যামনগর পৌরসভা এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. রনী খাতুন ১৪৪ ধারা জারি করেন।
বিএনপির স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘ ১৪ বছর পর রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির ৪৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া শ্যামনগর পৌরসভা বিএনপির ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি। এরপর থেকে শ্যামনগরে কমিটির পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি মিছিল সমাবেশ হয়ে আসছে। কমিটি গঠন ঘিরে টানা কয়েকদিন ধরেই শ্যামনগর উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরমধ্যেই মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) শ্যামনগর উপজেলার পূর্ববর্তী ও নতুন ঘোষিত উভয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আলীম।
বুধবার শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় একাংশ সোলাইমান কবিরের গ্রুপ। অন্যদিকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণের ঘোষণা দেয় সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের গ্রুপ। এই কর্মসূচি ঘিরে পৌর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বংশপুর এবং ঈশ্বরীপুর এলাকা থেকে সোলায়মান কবির গ্রুপের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এলাকায় ফেরার পথে ইসমাইলপুর এলাকায় পৌঁছালে আশেক এলাহী মুন্নার বাড়ি থেকে ওই মিছিলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্য সাইফুল ইসলাম, পথচারী রবিউল ইসলাম, মেহেদী হাসান, বিএনপিকর্মী আব্দুর রশিদসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০-২৫ জন আহত হন।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শ্যামনগর পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আহসানুর রহমান রাজীব/এসআর/জেআইএম