ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তিন শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ২১ হাজার ৮৫৬ জন ভর্তিচ্ছু। এ পরীক্ষায় আবেদন করেও অনুপস্থিত ছিলেন দুই হাজার ৩৫৫ জন। সেই হিসাবে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নেননি।
বুয়েটের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় ২৪ হাজার ২১১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ পান। তাদের মধ্যে ছাত্র ১৭ হাজার ৩৩৯ জন এবং ছাত্রী ৬ হাজার ৮৭২ জন। তার মধ্যে প্রথম শিফটে ছিলেন ৮ হাজার ৭১ জন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রতি শিফটে ৮ হাজার ৭০ জন করে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।
তবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৬ জন। এরমধ্যে প্রথম শিফটে ৭ হাজার ৩০২ জন, দ্বিতীয় শিফটে ৭ হাজার ২৯৬ জন এবং তৃতীয় শিফটে ৭ হাজার ২৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তারা ১০০ নম্বরের এমসিকিউ টাইপ প্রশ্নের মাধ্যমে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা দেন।
বুয়েট সূত্র জানায়, প্রাক-নির্বাচনী ও মূল পরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের প্রথম থেকে ২ হাজার ৫০০তম শিক্ষার্থীকে (মডিউল ‘অ’ ও মডিউল ‘ই’) মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত ন্যূনতম ১২জন পরীক্ষার্থী (পর্যাপ্ত আবেদন গ্রহণ সাপেক্ষে) মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
প্রাক-নির্বাচনীর ফল প্রকাশ ৪ ফেব্রুয়ারি
মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে ৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মূল ভর্তি পরীক্ষা লিখিত আকারে ২ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মডিউলে ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের জন্য গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন। দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মডিউল-বি ‘খ’ গ্রুপের মুক্তহস্ত অঙ্কন এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি। চূড়ান্ত ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ৮ মার্চ।
চলতি শিক্ষাবর্ষে বুয়েটের পাঁচটি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি ও স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসন থাকবে। সব মিলিয়ে আসনসংখ্যা এক হাজার ৩০৯টি।
এএএইচ/এসএনআর