স্কুলের অনুষ্ঠানে ১৭ অতিথির ১১ জনই আওয়ামী লীগ নেতা!

1 day ago 3
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বহলাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় ১৭ জনের মধ্যে ১১ জনই আওয়ামী লীগ নেতা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ওই বিদ্যালয়ের দুই দিনব্যাপী (২৯ ও ৩০ জানুয়ারি) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকা সম্বলিত একটি দাওয়াতপত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তালিকায় ১৭ জন অতিথির মধ্যে ১১ জন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা।

অতিথিদের তালিকায় ওই ১১ জন হলেন সরিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার বিশ্বাস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান, সরিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মতিয়ার রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সিদ্দিকুর রহমান, হোসেন আলী, আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জন।

বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় রাশেদুল ইসলাম ফেসবুকে দাওয়াতপত্র শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘আজ একটি জিনিস দেখে খুবই অবাক লাগলো। আমাদের বহলাডাঙ্গা হাই স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা আগামী ২৯ ও ৩০ তারিখ। এখানে একটা চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। ১৭ জনের নামের মধ্যে ১০-১১ জনই আওয়ামী লীগ। শুধু আওয়ামী লীগ বললেই হবে না, এখানে আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, থানা কমিটির মেম্বার সবাইকেই রাখা হয়েছে। সরিষা ইউনিয়নে কি আমাদের বিএনপির লোকজন নাই নাকি? আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটা আমরা সাধারণ বিএনপি জানতে চাই।’

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, সরিষা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক রেজাউল আলম হুমায়ুন স্যারের পরামর্শে এমন চিঠি করা হয়েছে। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন। সেখানে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের নাম রয়েছে। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান আসলে দল বিবেচনা করে নয়, অতিথিদের সম্মান জানানো হয়েছে।’

সরিষা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল আলম হুমায়ুন বলেন, ‘আমিসহ প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মিলেই এ চিঠি করা হয়েছে। এখন একটা একটা সালিশে আছি। পরে কথা বলবো।’

পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সব স্কুলের দাওয়াতপত্রও আমরা পাই না।

রুবেলুর রহমান/এসআর/এমএস

Read Entire Article