গাজায় দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি, নিহত ৩০০ ছাড়ালো

5 hours ago 3
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার পর শুরু হয় ইসরায়েলের হামলা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে।

গাজায় ঘনবসতিপূর্ণ শহর, অস্থায়ী স্কুল, আবাসিক ভবন ও তাবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ওপর রাতভর চলেছে ইসরায়েলের বিমান হামলা।

এই হামলা এমন সময়ে হলো, যখন গাজায় মানবিক সংকট চরমে রয়েছে। কেননা সেখানে ইসরায়েল দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সব ধরনের সহায়তা ও পণ্য প্রবেশ বন্ধ রেখেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হামাস আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে বারবার অস্বীকৃতি জানানোর পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফ এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সমস্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর এটি করা হয়েছে।”

“ইসরায়েল এখন থেকে ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তির সঙ্গে হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে”, এতে আরো বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন লাখেরও বেশি মানুষ।

গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় হামাস  ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ওই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচেষ্টা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়। ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে আজকের হামলাটি গাজায় সবচেয়ে বড় হামলা। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট ফক্স নিউজকে বলেছেন, হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করেছিল।

হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করেছিল।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই মুখপাত্র বলেন, “হুতি, হিজবুল্লাহ, হামাস, ইরান এবং ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর উচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়া। কারণ ট্রাম্প বলছেন, তিনি আইন মেনে চলা মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের বন্ধু ও মিত্র ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়াতে ভয় পান না।”

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভন্ডুল করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে গাজায় এখনো আটক থাকা ৫৯ জন জিম্মির ভাগ্য অনিশ্চিত করে তুলেছে তারা।

Read Entire Article