ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিকপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম এই তথ্য জানান।
সাপ্তাহিক এই ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার প্রত্যাবর্তন চুক্তির বিষয়ে আগ্রগতি আছে কিনা- এর জবাবে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য, উপাত্ত ভারত সরকারকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।”
বাংলাদেশ সরকার উত্তরের জন্য কয়দিন অপেক্ষা করবে-এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, “আমরা এখনো কোনো উত্তর পাইনি। তবে আমরা উত্তরের প্রত্যাশা করে যাব।”
এই যে অপেক্ষা, তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নাকি কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “উভয়ই”।
তিনি বলেন, “আপনারা জানেন যে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, আমরা রিমাইন্ডার দিব। সুতরাং আমি বলতে পারি, এর থেকে একটি উত্তর পেয়েছি আমরা।”
এর আগে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, “প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার পরও ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে ওই চুক্তি লঙ্ঘন হবে।”
আসিফ নজরুল বলেন, “আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। এরপর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে, তবে এটা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে সেটার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। সেই ব্যাপারে আমরা বিশ্ব সমাজে পদক্ষেপ নেব, সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।”
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এর মধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের যা যা করণীয় আছে আমরা করে যাচ্ছি। আরো কিছু করণীয় থাকলে ক্ষেত্র বিশেষে চিন্তা করে আমরা করব।”