ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ২২:৫৮, ১৮ মার্চ ২০২৫
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বহির্ভূতভাবে নজরুল ইন্সটিটিউটের গবেষণা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে। এমনকি ওই গবেষণাকর্মের তত্ত্বাবধায়ক হয়েছেন তারই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।
ওই বহিস্কৃত শিক্ষার্থী হলেন, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের গালিব ফয়সাল।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজে চূড়ান্তভাবে মনোনীত গবেষণা প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
তালিকার ১৪ নম্বরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিস্কৃত ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী গালিব ফয়সালের নাম। তার গবেষণা কর্মের তত্ত্বাবধায়ক হয়েছেন তারই বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭তম সিন্ডিকেট সভায় ২ বছরের জন্য বহিষ্কার হন গালিব। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তারের বিশেষ আনুকুল্যে ইতোমধ্যে তার শাস্তি কমানোর জন্য সিন্ডিকেটে আবেদনও করেছেন তিনি।
তার জন্য ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তর (তার ব্যাচের) সেমিস্টার পরিক্ষা পিছিয়ে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।
আইন অনুযায়ী, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অ্যাকাডেমিক, প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্তি কিংবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
এ বিষয়ে ইংরেজি কথা বলতে ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ওই শিক্ষার্থীর গবেষণাকর্মের তত্ত্বাবধায়ক রায়হানা আক্তারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ এর পরিচালকের দায়িত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রাশেদুল আনাম।
এ বিষয়ে রাশেদুল আনাম তিনি বলেন, “বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের আগেই আমাদের এ তালিকাটি রিভিউ হয়েছিল, যার কারণেই তার নামটি এই তালিকায় এসেছে। তবে যারা শাস্তিপ্রাপ্ত তারা কোনোভাবেই গবেষণার জন্য অনুমোদন পাবে না। কালকের মধ্যেই আমরা এই তালিকাটি সংশোধন করে প্রকাশ করব।”
একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ এর পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
ঢাকা/তৈয়ব/মেহেদী