পঞ্চগড়ে ১ জনকে মারধর, ২ জনকে আটক বিএসএফের

5 hours ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকায় আতিকুর রহমান (৩২) নামে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে। 

সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলার রনচন্ডি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্তের মেইন পিলার ৪৪৬ এর ২ নম্বর সাব পিলার থেকে আনুমানিক ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ইসলামপুর নামক এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। 

এসময় আতিকুর নামে ওই বাংলাদেশি ডান হাতে ও মুখে জখম হয়। পরে তাকে তেতুঁলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তেতুঁলিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।

এদিকে, একই দিন বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা বিওপির জিরো পয়েন্ট এলাকায় ডিউটিরত বিজিবির সিগন্যাল উপেক্ষা করে মোটরসাইকেল নিয়ে ভারতের ফুলবাড়ি সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করায় মাসুম ইসলাম (১৮) ও উৎসব চন্দ্র রায় (২১) নামে দুই বাংলাদেশি তরুণকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ১৮ ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা। 

পরে বিজিবির বাংলাবান্ধা কোম্পানি কমান্ডার ও বিএসএফের ফুলবাড়ি কোম্পানি কমান্ডারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বাংলাদেশে তাদের ফেরত আনা হয়েছে। 

পৃথক এ দুই ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ চেষ্টার দায়ে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আহত বাংলাদেশী আতিকুর রহমানের বাড়ি উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের দরগাসিং এলাকায়। তিনি ওই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী।

এছাড়া গ্রেপ্তার মাসুম ইসলাম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বোদা সদর ইউনিয়নের নয়াদিঘী এলাকার হাসিবুল ইসলামের ছেলে এবং উৎসব চন্দ্র রায় দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার মাহেরপুর দেউর এলাকার নীপেন চন্দ্র রায়ের ছেলে।

জানা যায়, আতিকুর রহমানসহ চার জন বাংলাদেশি সোমবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৪৪৬ এর ২ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ১৮ ব্যাটালিয়নের কালামগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলে বাকীরা পালিয়ে গেলেও আতিকুর বিএসএফের হাতে আটক হন। পরে তাকে বেধরক মারধর করা হয়।

ঘটনাটি পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের রনচন্ডি বিওপির কমান্ডারকে জানানো হয়। পরে বিএসএফের টহলদল বিজিবির টহলদলকে পতাকা বৈঠক ছাড়াই আতিকুরকে হস্তান্তর করে।

অপরদিকে, বাংলাদেশী তরুণ মাসুম ইসলাম ও উৎসব চন্দ্র রায় মোটরসাইকেল নিয়ে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ফুলবাড়ি সীমান্তের ১০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। 

সেসময় বিএসএফের ১৮ ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে। কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা করে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় তাদের হস্তান্তর করে বিজিবি।

তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবীর দুই যুবকসহ তিনজনকে অবৈধ অনুপ্রবেশ চেষ্টার দায়ে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বিজিবির পক্ষ থেকে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আদালতে তোলা হয়।”

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, “মোটরসাইকেল নিয়ে ওই দুই যুবক বিজিবির সিগন্যাল অমান্য করে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। এছাড়া আরেক বাংলাদেশি সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফের হাতে আটক হয়। পরে বিজিবি বিএসএফের সাথে আলোচনা করে তাদের দেশে ফেরত নিয়ে আসে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

Read Entire Article